জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-পা ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করতে চাওয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে জামালপুর শহরের পাথালিয়া জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুই নেতা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক এবং পিংনা সুজাত আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন। তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থক।
আজ দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিটার্নিং কর্মকর্তা শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, একটি সভায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার দুজন কর্মী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের বাধা এবং হাত-পা ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করাসহ নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩ এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী যা দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই প্রার্থী কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন, যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহেল মাহমুদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসাইন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে পিংনা ইউপির আনারস প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলামের একটি সভায় গ্রেপ্তার দুই নেতা বক্তব্য দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই নেতার হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বক্তব্যে তারা বলেন, ‘আগামী ৮ মে নির্বাচনে অন্য কোনো মার্কার এজেন্ট আমরা দিতে দেব না। আমরা রফিক সাহেবকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আজকেই ঘোষণা দিলাম। অন্য কোনো মার্কার এজেন্ট দিলে তার হাত-পা ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করবো।’