কোটা প্রথা সংষ্কারের দাবিতে উত্তাল সারাদেশ। চারদিকে মেধাবীদের হাহাকার। অধিকার আদায়ে সবাই যেন একেকজন অভিযাত্রী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে কোটার নামে বৈষম্য সত্যিই চরম হতাশাজনক এবং মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান পরিপন্থী। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। আজ স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে এসে কোটার নামে বৈষম্য মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে শুধু সাংঘর্ষিক নয় বরং মহান মুক্তিযুদ্ধের অবমাননাও বটে।
কোটা প্রথা স্বাধীন বঙ্গের সংবিধান বিরোধী। সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে – ” সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী”
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯ এর ১ এ আরো বলা হয়েছে – ” প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা থাকিবে”
অতএব সংবিধানের সাথে কোটা প্রথার সম্পর্ক সম্পুর্ন বিরোধী। সরকারের উচিৎ মেধাবীদের মূল্যায়ন করে যৌক্তিক পর্যায়ে বিবেচনায় এনে কোটা প্রথার সংষ্কার আনা। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার অবমূল্যায়ন করার মানেই স্বাধীন বাংলাদেশের দুর্বার অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। মেধাবীদের দাবী যৌক্তিক। সরকারের উচিৎ মেধাবীদের যৌক্তিক দাবী মেনে নেয়া।
মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম,সরকারি বিএম কলেজ,বরিশাল।