নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশনার পরেও কাজে ফেরেননি বাগেরহাট জেলা পুলিশের সদস্যরা। তারা বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা পুলিশ লাইনসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, মো. রাসেলুর রহমান, মাসুদ রানাসহ কয়েকশ পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, অভ্যন্তরীণ ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ ১১ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। সেই সঙ্গে পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যগণ কাজে ফিরবে না। বিভিন্ন সময় পুলিশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন অন্যায়ের বর্ণনা দেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে নিহত সকল পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করে ধর্মীয় রীতি অনুসারে দাফনের দাবি জানান তারা।
এদিকে বিক্ষোভ শেষে ১১ দফা দাবির সঙ্গে আরও দুটি দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অনশনের ঘোষণা দেন বাগেরহাট জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশের ইমেজ সংকট নিরসনে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী একজন ব্যক্তি, একজন সাংবাদিক ও পুলিশের আইজিপি পদমর্যাদার সাবেক একজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে সাত দিনের মধ্যে। এ ছাড়া বর্তমান যারা পুলিশ সুপার রয়েছে, তাদের এখনই বদলি করা যাবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কমিটি করার ঘোষণা দিতে হবে। তা না হলে পায়ে হেঁটে ঢাকায় যাত্রার ঘোষণা দেন এই পুলিশের এক কর্মকর্তা।
ঘোষণার পরপরই পুলিশ লাইনসে থাকা ড্রিল শেডে অনশনে বসেন সাজেদুর রহমান। এ সময় তার স্ত্রী রুনা বেগমও দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর পাশে বসেন। স্বামীকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করতে স্বামীর পাশে থাকবেন বলে জানান।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা যে নৃশংসতার শিকার হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সকল পুলিশ সদস্যের হত্যার বিচার করতে হবে। আমাদের ১১ দফা দাবি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি।