জুলাই অভ্যুত্থানে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ যেসব কারণে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় কারসাজির ফলে প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা সাধারণ ছাত্রদের নাগালের বাহিরে।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজ,বরিশাল রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ঈমন বলেন,প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাজারে গিয়া অনেক কিছু কিনতে পারছি না।কেননা টিউশন করে পড়াশোনা করি তাই টিউশন ফি না বাড়লেও হুঁহুঁ করে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। ফলে নাভিশ্বাস হচ্ছে জীবনযাত্রা।
চাকরী প্রত্যাশী নাজমুল হক বলেন,চাকরির পড়াশোনার জন্য মেসে থাকি কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বরিশালে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের কাছ থেকে আগের মত সাপোর্ট পাচ্ছি না।দিন দিন জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠছে এবং বাড়তি খরচ এখন আমার স্বপ্নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে পার্টটাইম কিছু করার চেষ্টা করছি কিন্তু বরিশালে পার্টটাইম চাকরী করার জন্য তেমন সুযোগ না থাকায় হিমশিম খাচ্ছি।মনে হচ্ছে স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
আনোয়ার উদ্দীন আলিম মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওঃ মনিরউজ্জামান বলেন, আগের তুলনায় ব্যাচেলরদের ব্যয় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ সমস্যা অস্থায়ী। খুব শীঘ্রই এ সমস্যার আশু সমাধান করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেন।এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে জনগণকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অভিশাপ থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।