পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে চমক দেখাচ্ছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পাওয়া আসনগুলোর বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা। খবর পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের।
গণমাধ্যমটির তথ্যানুসারে, স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করানেতারা বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ৭২টি আসনে জয় নিশ্চিত করেছেন। যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের অনুসারী। এছাড়া পিটিআই এগিয়ে রয়েছে আরও কয়েকটি আসনে।
অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন জয় নিশ্চিত করেছে ৪৭টিতে। জয় নিশ্চিত করেছেন দলীয় প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আর বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জয় পেয়েছে ৩৪ আসনে।
এরইমধ্যে নিজেদের দলকে জয়ীও দাবি করেছে পিটিআই। পাশাপাশি ষড়যন্ত্র করে ভোটের ফল পাল্টানোর অপচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ দলটির।
তবে বিভিন্ন জনমত জরিপে, এগিয়ে ছিলেন নওয়াজ শরীফ। ধারণা করা হচ্ছিলো, আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রত্যাবর্তন করছেন এই নেতা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাশাপাশি পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোর জরিপেও ইঙ্গিত মিলেছিলো পিএমএলেন’র জয়ের।
অন্যদিকে নিজ আসন অর্থাৎ খাইবার পাখতুনখাওয়ার এনএ- ১৫ মানসেহরা আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে পরাজতি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ শরিফ।
জানা গেছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে নওয়াজ শরিফ ৬৩ হাজার ৫৪টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, শাহজাদা গাস্তাসাপ পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট। অর্থাৎ ১১ হাজার ৬৫৯ ভোটে পরাজিত হয়েছে নওয়াজ।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারছেন না পিটিআইয়ের প্রার্থীরা। ফলে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন তারা। এবারের নির্বাচনে ধারণা করা হচ্ছে মূল লড়াই হবে ইমরান খান ও নওয়াজ শরিফের দলের মধ্যে।