বরিশাল মহানগর বিএনপির নতুন নেতৃত্বে চমক এসেছে। বড় নেতাদের বাদ দিয়ে আংশিক কমিটিতে বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতাদের রাখা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় চমক সাবেক ছাত্রদল নেত্রীকে নেতৃত্বে আনা।
এর আগে গত ১৪ জুন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
রোববার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, তিন সদস্য বিশিষ্ট বরিশাল মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন মনিরুজ্জামান ফারুক। তিনি আগের কমিটিও আহ্বায়ক ছিলেন। সদস্যসচিব সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন সিকদার। ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে।
অপরদিকে বাদ পড়েছেন সদ্য সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির, যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে আলী হায়দার বাবুল, কে এম শহীদ উল্লাহ শহীদ, আলতাফ মাহমুদ সিকদারসহ কয়েকজন। এ ছাড়া গুঞ্জনে থাকা বিএনপি নেতা এবায়দুল হক চান ও অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টুকে কমিটিতে রাখা হয়নি। স্থান পাননি সরোয়ার অনুসারীদেরও কেউ।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি নগর বিএনপিতে। নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান দলীয় নেতা কর্মীরা। বিগত সময়ে বাদ পড়া নেতারা কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
সদ্য ঘোষিত কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তিনি দলের জন্য ৪৪টি মামলায় আসামি হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন নয় বার। গত আন্দোলনেও বরিশাল নগরীর রাজপথ ছুটে বেড়িয়েছেন। দল তার এই শ্রমের মূল্যায়ন করেছে। তিনি সবাইকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে চান।
আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, এই দলের জন্য আমার ত্যাগের মূল্যায়ন পেলাম। সরকারবিরোধী আন্দোলনে টানা তিন মাস জেলে ছিলাম। আগামীতে স্বচ্ছভাবে নগর বিএনপি পরিচালনা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো গ্রুপিং এর মধ্যে আমি নেই, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। যারা আন্দোলনে মাঠে ছিল তাদের পুরস্কৃত করলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলের জন্য তাই সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে প্রস্তুত।