যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি কমলেও উন্নতি হয়নি দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির। এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদ-নদীর পানি। ভোগান্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও ধরলার পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে।
এদিকে, কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর বাহের কেদার এলাকায় এলজিইডির ক্ষুদ্র পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বাদ ভেঙে নতুন করে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি ৯ উপজেলার প্রায় দু’লাখ মানুষ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। চলতি বন্যায় তলিয়েছে ৬ হাজার ৬১৫ হেক্টর ফসলি জমি।
অবস্থার উন্নতি নেই গাইবান্ধাতেও। তিস্তার কাউনিয়া ও ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমলেও শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে বইছে পানি। তিস্তা তীরবর্তী ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। পানির নিচে রাস্তাঘাট। অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে নদী ভাঙন। ।
চোখ রাঙাচ্ছে জামালপুরের যমুনা নদীর পানিও। বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে ৫ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এ অবস্থায় পানি ঠেলে কেন্দ্রে যেতে হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। বন্যা পরিস্থিতির জন্য এরইমধ্যে দু’টি কেন্দ্র স্থানান্তর করেছে জেলা পরিষদ। এছাড়া, পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের ১০ হাজার মানুষেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাব সব জায়গায়।
অন্যদিকে, সুরমা-কুশিয়ারার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে হাওরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। ত্রাণ আর বিশুদ্ধ পানির সংকটে সিলেটে এখনও বন্যা কবলিত প্রায় ৫ লাখ মানুষ। আর আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ৯ হাজার মানুষের বেশি। পানিতে নিমজ্জিত সুনামগঞ্জ-তাহিরপুরের অনেক সড়ক। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।