বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বিষখালি নদীতে বরগুনা সদর মৎস্য বিভাগের অভিযানের সময় তিন জেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মো. রিপন (৪১) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান আহতরা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে আহত রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে বিষখালীর নদীর দক্ষিণ কূপধোন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলে রিপন উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
আহত জেলে রাসেল একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে এবং সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
আহত জেলে রাসেল মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মতো বিষখালী নদীতে কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন এলাকার দুটি ইঞ্জিনচালিত নামবিহীন ট্রলার নিয়ে মাছ শিকার করতে যান তারা। জালের কাছে পৌছালে স্পিডবোট নিয়ে বরগুনা সদর উপজেলার মৎস্য বিভাগের লোকজন অবৈধ খুঁটি অপসারণের জন্য আসেন। তখন দুটি ট্রলারকে ধরে ফেলে তারা। পরে তাদেরকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে সকাল ৯টার দিকে জেলে রিপনকে না দেখে রাসেলসহ বাকিরা তার বিষয়ে মৎস্য বিভাগের লোকজনের কাছে জানতে চান।
পরে তারা জানান, রিপন নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তাকে খোঁজার কথা জানালে তা না করে মৎস্য বিভাগের লোকজন চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলে রাসেল আরও জানান, নিখোঁজ রিপনের কথা জানতে চাইলে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে তাকে এবং দেলোয়ারকে মারধর করা হয়।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘বরগুনা সদর থেকে গতরাতে বিষখালি নদীতে অবৈধ খুঁটিগুলো অপসারণের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় কিছু জেলেরা সহযোগিতা করেছেন। তখন কোনো জেলেকে আটক করা হয়নি। ওই সময় তাদের লেবার ছিল সঙ্গে। এ সময় কোনো জেলে নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। তাদেরকে যে মারধর করা হয়েছে, এটা সত্য না। পাথরঘাটা থেকে কিছু ছবি পাঠানো হয়েছে সেই ছবিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। ইতিমধ্যে আমি বরগুনা জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করেছি।’