মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, রাজপথে আন্দোলন করে বা চেঁচামেচি করে বা বকা-বাদ্য করে এটার নিরসন হবে না। এটা করলে একটা পর্যায়ে হয়তো আদালত অবমাননাও হয়ে যেতে পারে। সঠিক জায়গা হলো, তারা যদি পক্ষভুক্ত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অবশ্যই আপিল বিভাগ সব পক্ষ শুনবেন এবং সব পক্ষ শুনে আপিল বিভাগ একটা ন্যায়বিচার করবেন। এটাই আমাদের আশা এবং আমার মনে হয় সেটাই হবে।
তিনি বলেন, কোটার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। কোটা নিয়ে বিচারাধীন মামলায় পক্ষভুক্ত হতে চাওয়ার শিক্ষার্থীরা সঠিক পথে হাঁটছেন। যেহেতু তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি আশা করব, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি যতদূর জেনেছি, যখন হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলা চলে, তখন আজকে যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু তাদের বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করার জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি। তাদের বক্তব্য সেখানে দেননি। তার পরে মামলাটার রায় হয়ে গেছে, মামলাটি এখন আপিল বিভাগে।
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না, সেটা হচ্ছে যে- খালেদা জিয়া মুক্ত, এই মুক্ত মানুষকে কী করে মুক্তি দেব আমি তো বুঝে উঠতে পারছি না।