ডেস্ক রিপোর্ট
১৮ আগস্ট ২০২৪, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

রূপপুর প্রকল্প থেকে শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন। এক প্রতিবেদনে এমন খবর দিয়েছে গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশন

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে, যখন শেখ হাসিনা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অদূর ভবিষ্যতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ভিভিইআর ইউনিট ব্যবহার করে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন (রোসাটম) থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কেনার জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সুবিধা নিয়েছেন।

এর নির্মাণব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকে গোপনে পাঁচ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সহায়তা করে রাশিয়া। মালয়েশিয়ার ওইসব ব্যাংকে রাশিয়ার বিশেষ তহবিল থেকে এ অর্থ এসেছে।

বাংলাদেশের পারমাণবিক খাত নিয়ে কাজ করার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। দেশটিতে এমন পেশাদারও নেই, যারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা এবং নির্মাণকাজের দেখভাল করতে পারেন। তবুও বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই করে এবং রাশিয়াকে কোনো তত্ত্বাবধান ছাড়াই সম্পূর্ণভাবে নির্মাণকাজ নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়। কারণ, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সুবিধা পেয়েছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিতর্কিত এক মধ্যস্থতা করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। রাশিয়ার সহায়তায় তিনি বাংলাদেশের চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অবশ্য টিউলিপ এ পরিষেবাটি বিনামূল্যে দেননি! তিনি তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেও মাসিক সম্মানি নিয়ে আসছেন।

টিউলিপের মা শেখ রেহানা এবং বাংলাদেশের শাসক পরিবারটির কিছু সদস্য রাশিয়ানদের কাছ থেকে কিক-ব্যাক (গোপনে অর্থ প্রদান) হিসেবে ৩০ শতাংশ অর্থ পেয়েছিলেন। এ অর্থ তখন গোপনে বেশ কয়েকটি অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অনিবন্ধিত ফোন বন্ধ হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, নিবন্ধন করবেন যেভাবে

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

বরিশালে বিএনপি নেতার ছু‘রি’কা’ঘা’তে জামায়াতকর্মী আহত

ভূমিকম্পে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কায় বরিশাল নগরী

শেখ রাসেল পরিষদের সদস্য বিল্লাল এবার ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী

ববি ময়মনসিংহ বিভাগীয় ছাত্র কল্যাণ সংস্থার নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শেবাচিমে ২ বছরের শিশুকে অবহেলা! চিকিৎসার বদলে ইউটিউব দেখছিলেন ‘ইন্টার্ন’

বরিশালে এইচআইভি সংক্রমণে নতুন উদ্বেগ: এক বছরে শনাক্ত ২০ জন, অর্ধেকই শিক্ষার্থী

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম সমাবর্তন আয়োজনের লক্ষ্যে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন

ববিতে নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর র‍্যাগিং: ভুক্তভোগীর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ

১০

ছাত্রসংসদের নাম জটিলতা নিরসনে ববিতে নিস্ফল বৈঠক

১১

বরিশালে থেঁতলানো মুখ, হাত বিচ্ছিন্ন ও পেটকাটা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার

১২

দেশের সব ভবন ও নির্মাণ কাজ অনুমোদনের জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ

১৩

বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

১৪

বরিশালে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন ডিসি

১৫

প্রাথমিক স্কুলে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে যা জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৬

ঝালকাঠিতে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির ২০ নেতাকর্মী

১৭

বরিশালে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান, সড়ক অবরোধ

১৮

বরিশালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব মাঠ মসজিদের নামে দখলের অভিযোগ

১৯

বরিশাল জেমি কর্ণারে ক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ

২০