বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে গেছে। সেই আওয়ামী দোসরদের সাথে হাত মিলিয়েই ডাকসু নির্বাচন জয়লাভ করেছে শিবির প্রার্থীরা। সেখানে তাদের ভোট ছিল না। পতিত আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের ভোটে তারা জয়ী হয়েছে। ডাকসুতে একটি আশ্চর্যজনক নির্বাচন হয়েছে। এটা বিএনপির জন্য অবশ্যই এক সতর্কবাণী।’ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৩১ দফার সমর্থনে বরিশালের বাবুগঞ্জে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বেগম সেলিমা রহমান আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে। কাউকে আয়নাঘরে যেতে হবে না। নারীর উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়ন হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।’ বাবুগঞ্জের মাধবপাশা তিনমঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই পথসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি তালুকদার।
মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক মাহবুব তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, বরিশাল জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মহসিন আলম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিপন ও মুলাদীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খান। পথসভাটি সঞ্চলনা করেন মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সেলিম সরদার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রিয়াজ হোসেন।
এসময় মুলাদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রব খান, বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন তালুকদার, মাধবপাশা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মান্নান হাওলাদার, যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা আরিফ রবীনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পথসভার আগে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপির একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মাধবপাশা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মাধবপাশার তিনমঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘বিএনপিতে ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলের দুঃসময়ে যারা দলের জন্য কাজ করেছে, বিভিন্ন মামলা-হামলার শিকার হয়েছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটি করা হলে তা বিএনপির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। সকল দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং ভুলে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
পথসভার আগে মাধবপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বেগম সেলিমা রহমান। পরে সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড সম্বলিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে তিনি মাধবপাশা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং রাষ্ট্র মেরামতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের মিলনমেলার পরিনত হয় গোটা মাধবপাশা এলাকা।
মন্তব্য করুন