বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফল প্রকাশ করেনি বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এ কারণে দশ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তাঁর আত্মহত্যার সম্পূর্ণ দায়ভার ওই বিভাগের উপর থাকবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের, অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের। তাঁর সর্বশেষ সেমিস্টারের পরীক্ষাটি চলতি বছরের ১২ মার্চ শুরু হয়ে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন,”মৃত্যুর জন্য আমার ডিপার্টমেন্টই সম্পূর্ণ দায় নেবে—যদি ১৭/১৮ তারিখের মধ্যে রেজাল্ট না পাই। ৮ মাস হয়ে যাচ্ছে এখনো রেজাল্ট নেই। ডজনখানেক চাকরির নিয়োগ মিস করেছি, একের পর এক মিস হচ্ছেই, আর কত? আরো ১০ বছরেও কি এমন সুযোগ পাব? কেনই বা হতাশ হব না? সবার আগে থেকেও এখন ফাইনাল রেজাল্টটাও পাচ্ছি না। ৫ বছর ৮ মাসেও যেন বিবিএ শেষ হয়েও হয় না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন: “সবচেয়ে ভীতু আমার ডিপার্টমেন্ট—ভিসিকে বলতে ভয়, নিউজ করতে ভয়। রেজাল্ট দিলে চাকরি পাব—এটা বলছি না, কিন্তু রেজাল্ট পাওয়া আমার অধিকার।”
বিভাগাটির কমিটির সভাপতি ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম বাছির বলেন,”পরিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি দ্রুত ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করেছি। তবে কিছু প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, “আমি অলরেডি পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। শুনলাম, কমিটির একজন সদস্য অনুপস্থিত থাকার কারণে দেরি হয়েছে। তবে রেজাল্ট প্রায় কমপ্লিট, সামনের সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করবে।”
মন্তব্য করুন