গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসি বাংলার। এরমধ্যে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের স্থানীয় প্রতিনিধি দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটেছে।
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের মৃতদেহ সদর হাসপাতালে এসেছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস জানান, এখন পর্যন্ত চার জনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এই দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)।
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
দুপুর ২টার পর পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির সভা শুরু হয়। সভা শুরুর আগে বেলা দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে এক দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
হামলার পর গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান। এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, গোপালগঞ্জে আজ রাত ৮টা হতে পরবর্তী দিন বিকেল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন