বরিশাল সদর রোডের পরিচিত ফুল বিক্রি ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘জেমি কর্ণার’-এ এক ক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে গোলাপের দাম নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
অভিযোগকারী, বরিশাল পত্রিকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক, জানান, তিনি সকালে দোকানে গিয়ে গোলাপ কিনতে চাইলে দোকানদার প্রথমে প্রতিটি গোলাপের দাম ২০ টাকা বলেন। দরদাম করে ক্রেতা ১৫ টাকা প্রস্তাব করলে দোকানদার কিছুটা রাজি হয়ে ১৪টি গোলাপ দেন।
কিন্তু দাম পরিশোধ করতে গেলে দোকানদার হঠাৎ আবারও প্রতি পিস ২০ টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী তখন জানতে চান,
“দরদাম করে ১৫ টাকা ঠিক হলো, আবার ২০ টাকা কেন?”
এ প্রশ্নে দোকানদার উত্তেজিত হয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এবং এক পর্যায়ে ক্রেতার ওপর চড়াও হয়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ। এসময় তিনি ক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
ঘটনার পর নিন্দার ঝড় বইতে থাকে স্থানীয়দের মাঝে। অনেকে বলছেন,
“একটা ফুলের দোকানে ক্রেতাকে এভাবে মারধর করলে সেটা ব্যবসায়িক নীতির চরম অবহেলা।”
এ বিষয়ে জেমি কর্ণারের মালিকপক্ষ জানায়—
“এমন ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে যেন কোনো ক্রেতার সাথেই এরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।”
অন্যদিকে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সদর রোড এলাকায় ব্যবসায়ীদের আচরণ ও মনোভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। তারা আশা প্রকাশ করেছেন—এ ঘটনা প্রশাসনকে আরো সচেতন ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করবে।
মন্তব্য করুন