বাংলাদেশে এইচআইভি/এইডস সংক্রমণ ধীরে ধীরে বিস্তৃত হলেও বরিশালের পরিস্থিতি বিশেষভাবে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত এক বছরে জেলায় ২০ জন নতুন এইচআইভি পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ১১ জনই শিক্ষার্থী, যা বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি ইঙ্গিত। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ ও সচেতনতার ঘাটতি এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংক্রমণ বাড়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, বরিশালে নতুন রোগীর হার দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির তুলনায় অনেকটাই বেশি। বিগত বছরের তুলনায় সংক্রমণ বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
গোপন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণই বাধা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অনেক রোগী তাদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ ও যোগাযোগের তথ্য গোপন রাখায় সংক্রমণের উৎস নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সুরক্ষাহীন সম্পর্ক, অনিরাপদ আচরণ এবং সচেতনতার অভাব তরুণদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সচেতনতা ও প্রতিরোধে জোর দেওয়ার আহ্বান চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,সহজে এইচআইভি পরীক্ষা, নিরাপদ ও দায়িত্বশীল সম্পর্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি, পরিবার ও অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা।
এসব ব্যবস্থা কার্যকরভাবে না বাড়াতে পারলে বরিশালে সংক্রমণের হার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। বিশেষ করে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা জরুরি হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন