ডেস্ক রিপোর্ট
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের গভীর শোক প্রকাশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এক শোক জ্ঞাপন করা হয়।

বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রাম সব গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বেগম খালেদা জিয়া। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। পাশাপাশি কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাও ছিল তার।

হার্ট ও ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ২৩ নভেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা তদারকি করেন।

এই মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরবর্তীতে তা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়া ‘আপসহীন নেত্রী’ উপাধি পেয়েছিলেন। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জীবনের পরম সত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

রাজনীতিকদের জীবনে উত্থান-পতন থাকে। মামলা-মোকদ্দমা, গ্রেফতার, কারাবাস, নির্যাতন, প্রতিপক্ষের আক্রমণ- এসবও তাদের জীবনে অভাবনীয় নয়। খালেদা জিয়াও চরম পর্যায়ের এমন নির্যাতন সহ্য করেছেন। সহ্য করেছেন স্বামী-সন্তান হারানোর গভীর শোক আর দীর্ঘ রোগযন্ত্রণা।

রাজনৈতিক জীবনে মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছাড়াও প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ, লাঞ্ছনা ও নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন, যিনি ১৯৯১ সাল থেকে তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নির্বাচিত নারী সরকারপ্রধান ছিলেন।

১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে তার জন্ম। তার বাবা ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে দেশভাগের পর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন। তাদের আদি বাড়ি ফেনীতে। তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন।

১৯৮১ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপিতে সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালের আগস্টে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

বেগম জিয়া দেশের রাজনীতিতে একটি অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। তিনি কখনো কোনো আসনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাঁচটি পৃথক আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তিনটি আসনেই বিজয়ী হন।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আপনারা মা’র জন্য দোয়া করবেন: তারেক রহমান

বুধবার ২টায় খালেদা জিয়ার জানাজা, সাড়ে তিনটায় দাফন

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের গভীর শোক প্রকাশ

খালেদা জিয়ার জন্য গুলশান কার্যালয়ে শোক বই

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের শোক

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, সম্ভাব্য তারিখ ৯ জানুয়ারি

মহান বিজয় দিবস আজ

হাদি হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির গ্রেফতার

মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

হাদির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন রনি

১০

হাদী ইস্যু: পুরো কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির নজরদারি

১১

বরগুনার পুরাকাটা ফেরিঘাটে ছুরিকাঘাতে খেয়া মাঝি নিহত

১২

বরিশাল-২ আসনে জামায়াত প্রার্থীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

১৩

হাদিকে হামলায় সন্দেহভাজন যুবকের ছবি প্রকাশ

১৪

ওসমান হাদী’র গ্রামের বাড়িতে চুরি

১৫

আইসিইউতে ওসমান হাদি, অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর: চিকিৎসক

১৬

পোস্টার ছাড়াই নির্বাচন করছেন তাসনিম জারা

১৭

ঢাকা ১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের

১৮

গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু “সাজিদকে” জীবিত উদ্ধার

১৯

১২ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন

২০