চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল পত্রিকার প্রতিনিধি আবু উবাইদা।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি গেটের সামনে তাকে মারধর করা হয়। মারধর করে ছাত্রলীগের শান্ত-তমাল-আরাফাত গ্রুপের অনুসারী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী শিশির আহমেদ সুমন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিমুল, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের রাকিবসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
ভুক্তভোগী আবু উবাইদা জানান, কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনাকর সৃষ্টি হলে সেখানে পেশাদারিত্বে আমি ভিডিও করতে যাই। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও আমার উপর চড়াও হয় এবং আমাকে কয়েকজন মারধর করে। পরে ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দিতে বাধ্য করে। এছাড়া আরো কয়েকজন সংবাদকর্মীর উপর তারা চড়াও হয়। তমালের সামনেই আমাকে মারা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মেহরাব হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় দেখলাম সাংবাদিক ভিডিও করতে গেলে মারধর করে ছাত্রলীগের কয়েকজন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দিতে বাধ্য করে। পরে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করা হয়।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী শুভ মন্ডল বলেন, আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সাংবাদিক ভিডিও করতে গেলে হাতাহাতি করতে দেখি। এক পর্যায়ে আন্দোলন ভেঙে যায়।
মারধরকারী সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সে কেন ভিডিও করবে, তাই তার ফোন নিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু তাকে মারধর করা হয়নি।
এর আগেও সংবাদকর্মীদের উপর বেশ কয়েকবার চড়াও হয় তারা। সাংবাদিক মারধরের অভিযোগ থাকলেও বিচার হয়নি তার।
এ বিষয়ে ববি প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমি জানলাম। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।