বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় ১৫ জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া দেশের সব বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে বর্তমানে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৮.৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলেও জানানো হয়।