অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে হুমায়ুন কবীর জানান, মসজিদ নির্মাণের জন্য এক ব্যক্তি একাই ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। দাতা পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকলেও আগামী এক মাসের মধ্যেই অর্থ প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি৯-এর খবরে বলা হয়েছে, বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের ঘোষণা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হলে বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পরে আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
হুমায়ুন কবীর জানান, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। এই অর্থ সম্পূর্ণভাবে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অনুদান থেকেই সংগ্রহ করা হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সরকারের কোনো আর্থিক সহায়তা নেওয়া হবে না, কারণ এতে ধর্মীয় স্থাপনার পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
বর্তমানে তাঁর কাছে ২৫ বিঘা জমি রয়েছে। ওই জমিতে শুধু মসজিদ নয়, ভবিষ্যতে ইসলামিক হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, মুসাফিরখানা এবং হেলিপ্যাড নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য এবং পুনর্নির্মাণ উদ্যোগ নেওয়ায় হুমায়ুন কবীরকে আগেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নির্বাচন সামনে রেখে এই উদ্যোগ তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাংককে সামনে রেখে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন হুমায়ুন কবীর। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন