বরিশালে এক হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার বলি হয়ে মানবেতর জীবন পার করছে বিএম কলেজের এক শিক্ষার্থী । ইতিমধ্যেই যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানান সমালোচনা।
বরিশাল পত্রিকার পাঠকদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী সাজনিন আহমেদ সাদিয়া গত ২ মাস ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলেন এবং তিনি ডা. ইকবাল হোসেন আমান-এর কাছে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রথমে ডাক্তার তার আক্কেল দাঁত চিকিৎসার জন্য দাঁত সোজা করার (টিথ এলাইনার) পরামর্শ দেন এবং এজন্য টাকা নেন। পরবর্তীতে আক্কেল দাঁতের পাশের আরেকটি দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে তিনি রুট ক্যানেল চিকিৎসা করেন।
এই চিকিৎসার পর রোগীর শরীর প্যারালাইসড-এর মতো অবস্থা হয়। ডাক্তার দাঁতের প্রলেপ খুলে দিয়ে নতুন ঔষধ দেন। কিন্তু ভুল ঔষধ সেবনের কারণে রোগীর অবস্থা দ্রুত গুরুতর হয়ে পড়ে।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীর মুখ ও শরীরে এসিড পোড়ার মতো ফুসকুড়ি ও জ্বালা-পোড়া দেখা দেয়, মুখ এবং গলার ভিতর এমনভাবে ক্ষত সৃষ্টি হয় যেন ভেতরটা গলে যাচ্ছে। পরীক্ষার পর জানা যায়, রোগী স্টিভেন জনসন সিনড্রোম (Steven Johnson Syndrome) নামক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সাদিয়া শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
অধ্যাপক ডা. এস এম সরওয়ার এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেলের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে, এই জটিল ও ভয়াবহ রোগের মূল কারণ ডা. ইকবাল হোসেন আমান কর্তৃক প্রদত্ত ভুল চিকিৎসা ও ঔষধ।
মন্তব্য করুন