বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) নব্য নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম দায়িত্ব শেষে ফেরার সময় সম্মানের সহিত ফুল গ্রহণের মাধ্যমে বিদায় নিতে চাই। বৃহস্পতিবার(১৫ মে) দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আমি সচেষ্ট থাকব। যেহেতু আমি বাইরে থেকে এসেছি, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো জানা আমার জন্য জরুরি। প্রতিটি বিভাগের সিআর ও এসিআরসহ শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করব। আমি সকলের জন্য উন্মুক্ত। যেকেউ আমার সাথে যেকোনো ব্যাপার দেখা করার সুযোগ পাবে। এসময় তিনি আরো বলেন, যদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়, তবে সমাধান অবশ্যই সম্ভব। আর যদি কোনো সমস্যার সাথে আর্থিক বিষয় জড়িত থাকে, তবে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ফ্যাসিবাদের দোসর আছে কিনা আমি জানি না, যদি থেকে থাকে এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকবে আমার পক্ষ থেকে।
তবে দায়িত্ব পালন শেষে ফুল গ্রহণের বিষয়টি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে এবারই প্রথম নয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিনও যোগদান করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দিয়েছিলেন কিন্তু নানা ব্যর্থতার দায়ে বিদায় বেলায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি কোনো সংবর্ধ্বনা পাননি উল্টো তার বিদায়ে মিষ্টি বিতরণ করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মোকাব্বেল শেখ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব অঙ্গে ব্যথা। একাডেমিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সকল স্তর সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যা সমাধানের জন্য এর পূর্বে ৫ জন উপাচার্যের ভিতর তেমন কেউ ভালো ফলাফল করতে পারিনি। আপনি আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল আপনার কাছে আমাদের চাওয়া অনেক বেশি। আপনি ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো সুতরাং আমরা যেকোনো মূল্যে আপনাকে বিজয়ী হিসাবে দেখতে চাই। আপনার হাত ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত পাক।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৯ দিনের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর গত মঙ্গলবার (১৩ মে) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণ করা হয়। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।##
মন্তব্য করুন