বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সচল রাখার জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) ছাঁটাই করা গাছের ডাল দিনে দুপুরে লোপাট করেছে কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। মূল্যবান এসব ডাল বিক্রির অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে লাগানো গেলেও তদারকির কোনো নাম নেই কতৃপক্ষের।
শুক্রবার (২৩ মে) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনের অর রশিদের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ছাঁটাই করা এসব ডাল সংরক্ষণ না করে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়। পরে সিকিউরিটি শাখার মেহেদী, লোকমান, রশিদ, মিজান গাজী, পরিবহন শাখার শহিদুল সহ বেশ কয়েকজন কারো অনুমতি না নিয়েই গাড়ি ভরে লোপাট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সম্পদ।
অভিযুক্তদের ভিতর মেহেদী হাসান বলেন, কারেন্টের লোকেরা ডাল কেটে রাস্তায় ফেলে রেখেছিলো সেগুলো সরিয়ে রেখেছিলাম। অনেকেই নিচ্ছিলো তাদের দেখাদেখি আমি মাত্র এক ভ্যানগাড়ি নিয়েছি। তবে কারো অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ এভাবে নেওয়া উচিৎ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ বলেন, গাছের ডালের বিষয়টি স্টেট শাখার তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। এ দায়িত্ব আমার নয়। আমার কাজ শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক লাইনের দেখাশোনা করা।
তবে স্টেট অফিসার সাইদুজ্জামান বলেন, আমাকে এ বিষয়ে প্রকৌশলী মামুন কোনো চিঠি ফরওয়ার্ড করেনি এমনকি কিছু জানায়নি পর্যন্ত। আমাকে না জানালে আমি ব্যবস্থা নিবো কিভাবে। তিনি আরো বলেন, আগেও উপাচার্য বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সময়ে এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিলো তবে সেবার প্রকৌশলী মামুন পরবর্তীতে এমন ভুল আর হবেনা বলে উপাচার্যকে জানিয়েছিলেন। সাইদুজ্জামানের আরো অভিযোগ প্রকৌশলী মামুন এমন খেয়াল খুশিমতো কাজ করেন।
কতৃপক্ষের গাফিলতি কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, এটা গাফিলতি কিনা সেটা মৌখিকভাবে বলতে পারছি না। আমি বিদ্যুৎ বিভাগকে জিজ্ঞাস করবো কিভাবে ব্যবস্থাপনা করবো, তাদের উত্তর কি হয় তারপর বলতে পারবো। তিনি আরো বলেন, সামনের বার খবর রাখবো এবং কি হচ্ছে সেটার হিসাব-নিকাশ নিবো।
মন্তব্য করুন