ভোলায় বন্ধুর সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজের চার দিন পর আবদুল্লাহ আল মারুফ (১৯) নামের এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড পাঙ্গাশিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরআগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বন্ধুর সঙ্গে পাঙ্গাশিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে মারুফ নিখোঁজ হন।
নিহত আবদুল্লাহ আল মারুফ রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরের বাসিন্দা। তিনি ফুডপান্ডায় চাকরি করতেন। তাঁর বাবা শহিদুল ইসলাম প্রবাসী। তার বন্ধুর নাম রাকিবুল ইসলাম। রাকিব এবং মারুফ একই জায়গায় চাকরি করতেন। সে হিসেবে তাদের দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
নিহত মারুফের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি মারুফ তার বন্ধু রাকিবের সঙ্গে ঢাকা থেকে ভোলায় আসেন। মারুফ যে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সে বাড়িটি ছিল রাকিবের মামাশ্বশুরের। রাকিব তার বন্ধু মারুফকে সঙ্গে নিয়ে পাঙ্গাশিয়া গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাকিব, মারুফসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে পাঙ্গাশিয়া নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় তাঁরা দু’জন নদীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সাঁতরে যেতে চায়। নদীর মাঝ পথে গিয়ে মারুফ নিখোঁজ হয়। এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল একদিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চলে যায়। ঘটনার ৪ দিন পর ঘটনাস্থলের অদূরে তার লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মারুফের পরিবার ভোলা সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। মারুফের মৃত্যুতে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত মামলা রুজু করা হয়েছে।