সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সারাদেশে চতুর্থ দিনের মতো চলছে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগসহ নানা ক্যাম্পাস এই ইস্যুতে উত্তাল। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকার বাইরে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যেই ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।
তবে, এই রায়ের আপাতত কোনো কার্যকারিতা নাই। কারণ, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর গতকাল বুধবার এক মাসের স্থিতিবস্থা দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে ৭ আগস্ট আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে৷ তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে সরকারের নির্বাহী বিভাগের দেয়া ২০১৮ সালের পরিপত্র। যে পরিপত্রে কোটা বাতিল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহালে গত জুনে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে, কোটাব্যবস্থা বাতিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে তাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলে আসছে। প্রথম দুই দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের এই কর্মসূচি চলছে।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো:
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।