সরকারি চাকুরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।এসময় কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় অবরোধ করতে দেখা গেছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেলা ১১ টা থেকে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।মানববন্ধন শেষে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি সহ কোটা বাতিল উথাপন করেন।দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সেঁজুতি বলেন, আমরা কোটা চাইনা।অবিলম্বে কোটা বাতিল চাই।আশাকরি কোটা বাতিল করে আদালত রায় প্রদান করবেন।যদি কোটা বাতিল না হয়,তাহলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আন্দোলনকারী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিলো হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করলো আমরা জানি না। আমি নিজে মেয়ে হয়েও বলছি,আমাদের মেয়েদের জন্য আলাদা কোটার প্রয়োজন নেই।নারী পুরুষ আমরা সবাই সমান।কোটা বাতিল হোক এটাই আমাদের চাওয়া।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম ইকবাল রাজু,২০১৮ সালের রক্তের দাগ আজও শুকায় নাই। টিয়ারশেলের দাগ আজও শুকায় নাই। আমাদের সেই সংগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার পথে।কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় নেমেছি।কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
এদিকে রাস্তা অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণেরা।ঢাকা থেকে আসা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, আমি অনেক দুর থেকে এসেছি।প্রায় দু ঘন্টা ধরে আটকে পড়ে আছি।খুবই কষ্ট হচ্ছে।
নলছিটি থেকে আসা যাত্রী নুরে আলম শরীফ জানান, আমরা চাই শান্তি।তাদের আন্দোলনও চলুক,আমাদের চলাচলের পথও করে দিক।অনেক ব্যস্ততা নিয়ে বরিশালে যাওয়ার পথে রওনা দিয়েছি।অনেক্ষণ ধরে যানবাহনগুলো আটকে আছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম,লোকপ্রশাসন বিভাগের মোঃ মিরাজ হোসেন, নাইমুর রহমান,কাইউম, ইংরেজি বিভাগের তামিম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অপর্না আক্তার।