বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের দুই ছাত্রাবাস মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ওই দুই ছাত্রাবাসে ঝুঁকি নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বসবাস করছেন। তাদের দাবী নতুন দুইটি হোস্টেল ভবন নির্মাণ করা। তবে নতুন হোস্টেল ভবন নির্মাণে কর্তৃপক্ষের নেই তেমন কোন মাথা ব্যাথা। ফলে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্রাবাসে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পাশ্চত্যের অক্সফোর্ড খ্যাত সরকারি ব্রজমোহন কলেজে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৭টি থাকার হোস্টেল। মহাত্বা অশ্বিনী কুমার দত্ত ডিগ্রী হোস্টেল, ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল, জীবনানন্দ দাস ছাত্রাবাস, সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাস, বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাস, দেবেন্দ্র ভবন ছাত্রীনিবাস, নৃপেন্দ্র ভবন ছাত্রীনিবাস।
এর মধ্যে জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাস ও সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। এ ছাত্রাবাস দুটি সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর আর সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠে ছাত্রাবাস দুটি। বিভিন্ন সময়ে কলেজের হোস্টেলগুলোর ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই উন্নয়নের যুগে এসেও আমাদের টিন শেড ভবনে থাকতে হচ্ছে। যার কিনা টিনের চালা ফুটো, বৃষ্টি হলে পানি পরে, দেয়াল গুলো স্যাঁতসেঁতে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে রুমের ভিতরে ও বাহিরের রাস্তা ঘাট পানিতে ডুবে যায়। বাহির থেকে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা মানুষ গুলো আমাদের হোস্টেলের পরিবেশ দেখে ছি: ছি: করে আর হয়তো মনে মনে বলে এর মধ্যেও কি মানুষ থাকতে পারে?
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ঝুঁকিপূর্ণ টিন শেড ভবন গুলো ভেঙ্গে নতুন বিল্ডিং নির্মাণের দাবিতে একাধিকবার কলেজ অধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি নতুন ভবন দিবে বলে প্রতিবার আশ্বস্ত করে আমাদের ফিরিয়েদেন বাস্তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। তবে এবার নতুন হোস্টেল নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীরা দ্রুত আন্দোলনে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল হক বলেন, টিনশেড ভবন গুলোর যে-সব যায়গায় বৃষ্টি হলে পানি পরে সেসব যায়গায় নতুন টিন দেয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ার কে বলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর সংস্কার মেরামত হয়ে যাবে। পাশাপাশি নতুন হোস্টেল ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।