রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের করা এক বক্তব্যকে কটু ভাষায় গালি দিয়ে সমালোচনা করার কারনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সোমবার(১৪ এপ্রিল) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার একটি সংবাদ নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে শেয়ার দিয়ে বেফাস মন্তব্য করেন তিনি। অবশ্য সমালোচনার মুখে পরবর্তীতে গালি শব্দটি মুছে দেন।
বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন এয়ারকন্ডিশনের ভেতরে বড় বড় দামি অফিসে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে। তারেক রহমানের এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাকে উদ্দেশ্য করে মাইনুল ইসলাম কটুক্তি করে লেখেন সে লন্ডন বসে জ্ঞান দিচ্ছে।
মাইনুল ইসলামের এমন নেতিবাচক সমালোচনাকে ঘিরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ভিতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবে তবে সেটি গাঠনিক এবং মার্জিত ভাষায় হওয়ায় উচিৎ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক এমডি সিহাব বলেন,”রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু ব্যঙ্গ বা কটাক্ষ নয়। যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করুন, ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। একজন নেতার চিন্তা বা বক্তব্যের সাথে একমত না হলেই সেটিকে উপহাস করা রাজনৈতিক পরিপক্বতা নয়।”
ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে দাবি করে অভিযুক্ত মাইনুল ইসলাম বলেন, দেখুন: স্থান ভেদে ভাষার শব্দ এবং অর্থের পরিবর্তন হয়। এই হিসেবে আমি যেই শব্দটি ব্যাবহার করেছি; এটা আমাদের এলাকায় “বাজে” শব্দ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তো দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থী থাকেন। এই হিসেবে কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী হয়তো আমার ব্যাবহৃত শব্দটির ভুল অর্থ করেছেন। আর আমার ব্যাবহৃত শব্দটি একটি “আঞ্চলিক শব্দ” হওয়ায় অনেকে এটির ভুল ব্যাবহার করে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এটি কাম্য নয়।
এর আগেও মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক জান্নাতুল নওরিন ঊর্মিকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ ওঠে অবশ্য সে অভিযোগও বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন