গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নির্বিচার আগ্রাসনে অন্যান্য দেশের নাগরিকের মতো ক্ষুব্ধ তুর্কি জনগণও। গত প্রায় চারমাস ধরেই সেখানে চলছে বিক্ষোভ-সমাবেশ। তবে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নাটকীয় এক কাণ্ড ঘটিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক তুর্কি নাগরিক। ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে জন্ম দিয়েছেন জিম্মি নাটকের। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা নাগাদ তুরস্কের কোকেলি প্রদেশের গেবজে শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল’-এর কারখানায় প্রবেশ করেন ওই তুর্কি নাগরিক। হাতে অস্ত্র আর শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে জিম্মি করেন কারখানার ৭ শ্রমিককে। মুখ বাঁধা ছিলো ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী ‘কেফিয়াহ’ দিয়ে। কারখানার দেয়ালে ফিলিস্তিনের পতাকা এঁকেও জানান প্রতিবাদ।
এরপরই শুরু হয় পুলিশের উদ্ধার অভিযান। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে কারখানার বাইরে অবস্থান নেন শ্রমিকদের স্বজনরা। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, জিম্মিকারীর সাথে আলোচনায় বসতে ব্যর্থ হয়েই চালানো হয় অভিযান। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও হয়নি কোনো অগ্রগতি। প্রায় নয় ঘণ্টা পর ধরা মেলে সাফল্য।
পুলিশ জানায়, জিম্মিকারী ব্যক্তি টয়লেটে যাওয়ার সুযোগে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৭ শ্রমিককে। পরে আটক করা হয় জিম্মিকারীকেও। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, গাজায় যা হচ্ছে, তা বিশ্ববাসীর নজরে আনতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। বিস্তারিত জানতে অধিকতর তদন্ত চলছে।