বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দূর্গাপূজার নিরাপত্তার জন্য উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১শত ৬২টি পূজা মন্ডপে ১ হাজার ৪৪ জন আনসার সদস্য নিয়োগে তাদের কাছ থেকে পাঁচশত থেকে এক হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা আনাসার ভিডিপি কর্মকর্তা আয়শা সুলতানার বিরুদ্ধে। ওই টাকা উত্তোলনে সহযোগীতা করেছে উপজেলার ইউনিয়ন কমান্ডাররা এমন অভিযোগ রয়েছে। উত্তোলনকৃত টাকার ভাগকরে নিয়েছে উপজেলার আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা আয়শা সুলতানা ও ইউনিয়ন কমান্ডারেরা।
স্থানীয় ও আনসার সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রতিটি পূজা মন্ডপে আনসার নিয়োগের জন্য যখনই কাগজপত্র দেওয়া হয় তখনই কমান্ডারদের মাধ্যমে ৫শত থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে আনসারদের। যারা টাকা দিতে চায়নি তাদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। এরমধ্যে সব চেয়ে বেশী টাকা উত্তোলন করেছেন গৈলা ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার শাহাদাত হোসেন। তার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠে আসছে। উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে এই টাকা উত্তোলন কাজে সহযোগীতা করে আসছেন কমান্ডার রবিউল শিকদার, শাহাদাত ফড়িয়া, জসীম শিকদার ও অমুল্য রতনসহ প্রমুখ।
এছাড়াও একজন ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার জানান, পূজার আগে আমাদের আনসার কমান্ডারদের নিয়ে মিটিংয়ের সময় উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা আয়শা সুলতানা ৫শত টাকার উপরে না করারর নির্দেশ নিয়েছে। এনিয়ে ওই মিটিংয়ে কথার কাটাকাটিও হয়েছিল। আনসারের ট্রেনিং ছাড়াও লোকজনকে তারা নিয়োগ দিয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে নিয়োগপ্রাপ্ত একাধিক আনসার সদস্য বলেন, আমাদের কাছ থেকে ইউনিয়ন মান্ডার পাঁচশত আবার কারও কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়েছে। এই উত্তোলনকৃত টাকার বেশীর ভাগই নিয়েছেন উপজেলার আনসার-ভিডিপি’র কর্মকর্তা আয়শা সুলতানা।
এব্যাপারে ইউনিয়ন কমান্ডার রবিউল শিকদার, শাহাদাত ফড়িয়া, জসীম শিকদার ও অমুল্য রতন সাংবাদিকদের জানায়,আমরা কাগজপত্রতৈরি ও ফটোকপির জন্য কিছু টাকা তোলাহয়েছে। সাংবাদিকরা যা পারে তা লেখেন।
এব্যাপারে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আয়শা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোন কমান্ডারকে টাকা উত্তোলন করতে বলিনি। কেউ যদি টাকা উত্তোলন করে সেই দায়িত্ব তার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন সাংবাদিকদের বলেন, পূজায় আনসার সদস্য নিয়োগ দিয়ে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ নিয়ে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বরিশাল জেলা আনসার কমান্ড্যার মো.নাহিদ হাসান জনি বলেন, কোন আনসার সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।