বরিশালে জুডিশিয়াল হেফাজতে (সেফহোম) থাকা কিশোরীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যা দিয়ে তারা নিয়মিত বাইরে যোগাযোগ করতো। সরকারি শিশু পরিবার বালিকা (দক্ষিণ) বরিশালে থাকা ১৮ বয়সের কম এমন এক কিশোরীর কাছ থেকে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনটি উদ্ধার করেন আনসার সদস্য ফাতেমা আক্তার শাপলা।
আনসার সদস্য জানান, আদালতের নির্দেশে সেফহোমে আছে, এমন এক কিশোরী শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কারও সাথে গোপনে মুঠোফোনে আলাপচারিতা করছিল। তখন তার দেহে তল্লাশি করে বাটন মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেন। এসময় আরও দুই কিশোরী এই মোবাইল উদ্ধার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়।
আনসার সদস্যদের ধারনা, কোনো একটি মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি সেফহোমে নিয়ে আসা হয়। এবং তা দিয়ে লুকিয়ে রেখে কয়েকজন কিশোরী বাইরে কারও সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছিল।
এই বিষয়ে জানতে সেখানকার আনসার কমান্ডার মোসা. জোলেখার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদটি প্রকাশ না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা এটাই প্রথম নয়, অতীতে আরও শত শত মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তার তথ্য বাইরে যায়নি। এত নিরাপত্তা বলয় থাকা সত্ত্বেও সমাজসেবার আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে মোবাইল পৌছালো কী করে তার কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি এই আনসার কর্মকর্তা। জুডিশিয়াল হেফাজতে থাকাদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় ক্ষোভসহ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কিশোরীদের অভিভাবকেরা।
এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির উপতত্ত্বাবধায়ক ফরিদা ইয়াসমিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বরিশাল পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন, তবে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে শুনেছেন। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’