ইনকোর্স পরীক্ষার নাম্বার নিয়ে সীমাহীন দূর্নীতি, নিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ এবং কোচিং বাণিজ্যসহ আরো নানান অভিযোগ তুলে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান মিজান-এর পদত্যাগ দাবী করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।
এ-নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত নামে এক ব্যক্তি যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। বরিশাল পত্রিকা’র পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
“ইনকোর্স পরিক্ষার নম্বর নিয়ে সীমাহীন দূর্নীতি,বিশেষ ক্লাসের নামে প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য,নিজস্ব মতের সাথে সাদৃশ্যতা না হলে পরিক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি-ধমকি,শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক অবধি পর্যন্ত সকলের সাথে অমার্জিত আচরন,বিভাগের শিক্ষকদের সাথে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক বজায় না রাখা,সাবেক ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের সাথে লিয়াজোর মাধ্যমে ক্ষমতার দম্ভ, শিক্ষার্থীদের একে-অপরের মধ্যে আন্তঃদ্বন্দ্ব সৃষ্টি & অভিভাবকদের সাথে অমার্জিত আচরন’সহ আরও বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজ,বরিশাল সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ কামরুজ্জামান মিজান স্যারের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করছি।নতুবা মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয় উপরোক্ত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সমাজকর্ম বিভাগের সকল শাখার শিক্ষার্থীদের সাথে একান্ত বৈঠকের মাধ্যমে উপরোক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত হলে অনতিবিলম্বে অব্যাহতি প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ন্যায়বিচারের অভাবে একজন শিক্ষার্থী নিজস্ব পথ হারাতে পারে,আবার ন্যায়বিচার বা সুদৃষ্টি পেলে একজন দুর্বল ছাত্রও হারানো পথ খুঁজে পেতে পারে।আমি সরকারি ব্রজমোহন কলেজ,বরিশাল এ-র সচেতন শিক্ষার্থী ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো, সকল প্রকার অন্যায়-অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার হতে হবে।এদেশে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যতগুলো আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিলো, প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলো। শিক্ষার্থীরা কখনো কোন অন্যায় ও অনিয়মের প্রতি মাথা নোয়ানোর নয়। ”
https://www.facebook.com/groups/social.work.group.bangladesh/?mibextid=x2TFxBDZxubyk4Hj
উক্ত পোস্টটিতে অনেকেই তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
চলুন পাঠক কয়েকটি মন্তব্য দেখে নেয়া যাক।
আবির মাহমুদ চৌধুরী নামে একজন মন্তব্য করেছেন “ইনি খুবই খারাপ একজন স্যার,উনার অত্যাচার এবং কোচিং বানিজ্যের বলির পাঠা কম বেশি সবাই হয়েছে। উনাকে স্যার কম একজন খারাপ মানুষ বেশি মনে হয়। উনার পদত্যাগ দাবি করছি সাথে উনার বিএম কলেজ লাইফে যত ছাত্র ছিলো সবার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি সিওর করা হোক, আমরা প্রয়োজনে এটা নিয়ে আন্দোলন করবো”
নুসরাত পলি নামে অন্য একজন লিখেছেন “স্যারকে প্রথমে আমিও সম্মান করতাম। স্টুডেন্টের সাথে রাগ দেখানো ভালো কিন্তু বদমেজাজি হওয়া মোটেও কাম্য নয়। একজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট যতটুকু সম্মান পাওয়ার যোগ্য স্যার কখনোই সেই সম্মানটুকু দেয়নি। বদমেজাজি একজন শিক্ষক”
মো: নাঈম শরিফ নামে একজন লিখেছেন “ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। কখনো যেন এক নাঈমের কারণে ডিপার্টমেন্টের সব নাঈমের হেনস্তার শিকার না হতে হয়”
সুন্দরী ছাত্রী প্রিয় এই শিক্ষকের কাছ। সেইম ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবীর ভিতরে আন্তঃকলহ ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারী শিক্ষকের অতি দ্রুত পদত্যাগ চাই। নইলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করা হবে’ এছাড়াও আরো অনেকেই তাদের ক্ষোভ এবং অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।