বৃষ্টি আর উজানের ঢলে নদীর পানি বেড়ে দেশের কয়েক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুর্গত এলাকার লাখো মানুষ।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে নিয়মিত। ফলে প্রতিনিয়তই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী ও রৌমারীসহ ছয় উপজেলার সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এসব এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে। রাস্তাঘাটও তলিয়ে পানির নিচে। ফলে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। বন্যা কবলিত এসব এলাকার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে পাঠদান বন্ধ হয়ে আছে।
এদিকে, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাতেও বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। রংপুরে তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও এখনও তলিয়ে আছে গঙ্গাচড়া, পীরগাছা ও কাউনিয়াসহ কয়েক এলাকা। তলিয়ে আছে নিম্নাঞ্চল।
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু এলাকায়।
বানের জলে সড়ক ডুবে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য চাল ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিরাজগঞ্জেও যমুনার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার জমির ফসল।
অন্যদিকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত অবস্থাতেই রয়েছে। এখনও বিপৎসীমার ওপরে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি। কয়েক স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। দুর্গত এলাকায় খাবার ও সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেও জানায় জেলা প্রশাসন।