বরিশালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লাইসেন্স পাওয়া অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। গত দুদিনে বরিশাল কোতয়ালী থানায় ২৪টি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেসব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্রগুলো থানায় জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই বরিশালে শুরু হয়েছে এসব অস্ত্র জমা দেওয়া।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে বরিশাল জেলা ও মহানগর এলাকায় ১৯৬টি অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, রিভলভার, শর্টগান, এক-নলা ও দো-নলা রাইফেল।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের থানায় এরই মধ্যে ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জমা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ অস্ত্র জমা না দিলে তাঁকে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে।’
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যারা অস্ত্র জমা দিচ্ছেন তাঁদের একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেওয়া হচ্ছে। এ পত্র সংরক্ষণ করার জন্যও বলা হচ্ছে।
এদিকে, অস্ত্র জমা দিয়ে পুনরায় তা ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। তাঁরা বলছেন, অনেকে শখ করে আবার কেউ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এসব অস্ত্র কিনেছিলেন।
মো. মাসুম নামের একজন বলেন, ‘২০১৮ সালে অস্ত্রটি কিনেছিলাম আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য। আয়করের ওপর নির্ভর করে আমাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ৫ লাখ টাকা দিয়ে কেনা অস্ত্রের আর ফেরত পাব কিনা জানি না। সম্পূর্ণটাই মনে হচ্ছে গচ্চা গেল।’
উল্লেখ্য, বরিশালে মোট অস্ত্রের লাইসেন্সধারীর সংখ্যা ৬৬৯ জন।