আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি কারো ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু বিএনপির মতো আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিকার না। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। তিনি কাউকে ছাড় দেন না।
তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের সবার তথ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে। দুর্নীতিবাজরা বিচারের আওতায় আসছে। শুক্রবার (৩১ মে) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার নির্বিকার নয়। আমি মন্ত্রী, আমি যদি কোনো দুর্নীতি করি সেটা কি বি না বিচারে শেষ হয়ে যাবে? প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব খবর আছে। প্রধানমন্ত্রী অফিসের কিছু লোককেও শাস্তি দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার আমলে তারা কি কাউকে শাস্তি দিয়েছিল? তখন প্রধানমন্ত্রীর অফিস ছিল দুর্নীতি আখড়া।
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছিল। বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা যারা বলে তাদের গণতন্ত্র ছিল হ্যাঁ/না ভোট। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভুতের মুখে রাম রাম। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও নেই, এখানেও নেই। তবে আমরা এ বিষয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির সম্মেলন হয় না কত বছর। গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কথা বলার কি অধিকার আছে মির্জা ফখরুলের। জিয়া হত্যার সঙ্গে তার নিজের দল জড়িত। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তার করবে কিনা সেটি আদালত দেখবে। তার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত নই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।