“ঐক্য ও বিজয়ের ফিস্ট” নামে করা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের একবেলা খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫ আগস্ট ২০২৫ জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তবে এ আয়োজনের বাজেট ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ভোজের জন্য জনপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে, যার মধ্যে ১০০ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকি ৫০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবী তাদের রেজিষ্ট্রেশনের ৫০ টাকা যেমন বেশি হয়েছে তেমনি মাথাপিছু ১৫০ টাকা বাজেটও কম হয়েছে। বর্তমান বাজারে ১৫০ টাকা বাজেটে কিছুই পাওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবসগুলোতে যেখানে কমপক্ষে ২২০ টাকা বাজেট রাখা হয়। সেই হিসাবে ৫ আগস্টের মতো বিশেষ দিনে জনপ্রতি বাজেট তাদের কাছে অপ্রতুল। আরো অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে যারা বিজয় ভোজের কমিটিতে রয়েছেন তাদেরকে জানানো হলেও, তারাও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
লোকপ্রশাসন বিভাগের মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রতিদিন খাওয়ায় না। বছরে বিশেষ দিন, সেই বিজয়ের দিনেও যদি সম্মানজনকভাবে আপ্যায়নের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে এই আয়োজন কিসের? শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বরং এক ধরনের অবহেলা। তিনি আরো জানান, অনেক শিক্ষার্থীর দৈনিক বাজেটই ৫০-৬০ টাকার নিচে। তাদের কাছে ৫০ টাকা দিয়েও এই ভোজে অংশ নেওয়া কঠিন। আমার নিজের এমন ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় আছে যাদের দৈনিক বাজেটই ৬০ টাকার নিচে।
বলেন, আমরা মনে করি, ‘বিজয় ভোজ’ একটি গৌরবময় আয়োজন, যা আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও সংগ্রামের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। তবে দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এই আয়োজনের ব্যয়ভার অনেকাংশেই শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। অতএব, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—এই আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থীদের উপর ধার্য খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব বাজেট থেকে যথাযথ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বাজেট খরচের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক।
মন্তব্য করুন