দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরতন্ত্রের অবসান হলো ছাত্র ও নাগরিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়া।বিগত আওয়ামীলীগের শাসনামলে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে বহু ঘটনা দেশে সংঘটিত হয়েছে। অপহরণ মামলা-হামলা,বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির রঙ্গমঞ্চে পরিণত হয়েছিল দেশে। পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল আওয়ামী সরকার।
অনিয়ম আর অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল।দীর্ঘ দিনের অপশাসনের ফলে জনগণের মাঝে ক্ষোভে দানা বাদে এবং বিস্ফোরণ হয়েছিল গত ৫ ই আগস্ট। ছাত্র ও নাগরিক সমাজের তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতন হয়।ফিরে আসে জনগণের মাঝে সস্তি ও আনন্দের হিল্লোল।সহস্র প্রান ও রক্ত মাখা অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা কোন ভাবেই হাত ছাড়া করতে চাচ্ছে না জনগন।
তারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। আর কোন স্বৈরাচার মাথানাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টিপাত। আগামীর বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র । সব ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত একটি পরিবেশ হবে। মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার,প্রাপ্ত বয়স্ক সার্বজনীন ভোটাধিকার ও প্রশাসনিক সেক্টরে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন সরকারের কাছে মানবকল্যাণ, জনকল্যাণ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের মাধ্যমে নাগরিক প্রত্যাশা পূরণ হোক, সেই প্রত্যাশা জনগনের।