হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১২টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্যা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে জড়িত হয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোল চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হয়। পরবর্তী কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বরিশাল-পটুয়াখালি মহাসড়কে আগুন চালিয়ে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্দোলনের যৌক্তিকতা এবং ভোগান্তি সম্পর্কে একজন পথচারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোটাপ্রথা বাতিল করা অবশ্যই যৌক্তিক এধরনের অনিয়ম মেধাবী শিক্ষার্থীরা মানবে না এটাই স্বাভাবিক। আমাদের একটু ভোগান্তি হচ্ছে এটা ঠিক কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেন তাদের অধিকার ফিরে পাই এটাই আমি চাই কেননা এখানে সবাই আমার সন্তানের মতো। আমার সন্তানও পড়ালেখা করছে এ ধরনের কোটাপ্রথা বাতিল না হলে ভবিষ্যতে তাকেও বিড়াম্বনায় পড়তে হবে।
আন্দোলন কত সময় পর্যন্ত চলবে এ বিষয়ে অনিমেষ নামে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আসলে আপনি জানেন যে সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হচ্ছে সেটা অনেক বড় ভূমিকা রাখছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, এখন আমাদের দাবি যদি না মানা হয় যদি হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় না দেয় তাহলে কোনো সময় অসময় থাকবে না আমাদের আন্দোলনের।
উল্লেখ্য এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে আপোষ না সংগ্রাম, কোটা না মেধা, সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথা কবর দে, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার ইত্যাদি।