ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ১০ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বা বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) সেবা দিতে পারছে না। এর প্রভাব পরেছে দক্ষিণের জেলাগুলোর লাখ লাখ মানুষের মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে।
বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ আরও কয়েকটি জেলার মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অপারেটর সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল থেকে কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, ‘দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে কিছু টাওয়ার চালু করার চেষ্টা করছি।’
তবে, তিনি সতর্ক করে জানান, পোর্টেবল জেনারেটর সহজ ও টেকসই সমাধান না। কারণ, প্রতিকূল আবহাওয়ায় এসব জেনারেটরের জন্য ডিজেল সরবরাহ কঠিন হবে।
বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) রেডিও সংকেতের মাধ্যমে মোবাইল ডিভাইসের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে মোবাইল কল ও ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে।
টেলিকম কোম্পানির কর্মকর্তাদের মতে, একটি বিটিএসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাটারি ব্যাকআপের সময়কাল সাধারণত ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত, যা বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করে। স্বল্প থেকে মাঝারি সময়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও এই ব্যাকআপের মাধ্যমে টাওয়ার চালু থাকে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আজ ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে স্বাভাবিক উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।
সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার