২০২৩ সালে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বা রূপান্তরিত খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এবার আইসিসির দেখানো পথেই হাঁটলো ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ঘরোয়া ক্রিকেটে মেয়েদের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসিবি।
ইসিবি জানিয়েছে, বয়ঃসন্ধির মধ্য দিয়ে যাওয়া কোনো পুরুষ রূপান্তরিত নারী হয়ে উঠলে, তিনি দেশটির শীর্ষ দুটি স্তর টায়ার ওয়ান ও টায়ার টুতে খেলতে পারবেন না। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের তৃতীয় স্তরের নিচে এবং বিনোদনমূলক ক্রিকেটে রূপান্তরিত নারীদের অংশগ্রহণে বাধা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে, বিস্তর পরামর্শ, ন্যায্যতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তি’র মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বিবেচনায় নিয়েছে বলে উল্লেখ করে ইসিবি। যেখানে বলা হয়েছে, পরামর্শ গ্রহণকালে সংগৃহীত বিস্তৃত মতামত, ২০২৩ সালে পরিচালিত আলোচনা পর্ব এবং প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা প্রমাণ বিবেচনায় নিয়ে ইসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে মেয়েদের পেশাদার ঘরোয়া ক্রিকেটে আইসিসির মতো একই নীতি গ্রহণ করা হবে।
যুক্তরাজ্যে সাঁতার, সাইক্লিং, অ্যাথলেটিকস, রাগবি লিগ ও রাগবি ইউনিয়নে আগে থেকেই ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ। এবার ক্রিকেটেও এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।
ইসিবির নিয়ম অনুযায়ী, তৃতীয় স্তর কিংবা তার নিচের টায়ারে ট্রান্সজেন্ডারদের খেলতে হলে লিখিত ছাড়পত্র নিতে হবে। তাদের রূপান্তরিত হওয়ার প্রমাণও দেখাতে হবে। সেসব পর্যালোচনা করে খেলার ছাড়পত্র দেবে ইসিবি।