ফেনীর ছাগলনাইয়ায় টয়লেট পরিষ্কারের ব্রাশ পায়ুপথে ঢুকিয়ে ফজর আলী নয়ন (১৪) নামে এক কিশোরের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (২২ মে) বিকেলে এসব বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম। এর আগে শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ছাগলনাইয়া উপজেলার জমদ্দার বাজারের আহমেদ শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ফজর আলী নয়ন উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের মজল হক সওদাগর বাড়ির কোরবান আলীর ছেলে। সে বাজারের আমিন স্টোর নামের একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
ভুক্তভোগী নয়নের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে জমদ্দার বাজারের আহমেদ শপিং সেন্টারের সামনে থেকে এক অজ্ঞাত যুবক নয়নকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। নয়ন তার কথা মত ভবনটির দ্বিতীয় তলায় গেলে সেখানে উপস্থিত আরও এক অজ্ঞাত যুবক তার চোখ ও হাত-পা বেঁধে তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই নয়নের উপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে তারা।
নয়নের মা শাহেনা আক্তার বলেন, ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে ওই দুই যুবক নয়নকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে তাকে ভবনের একটি বাথরুমে নিয়ে যায়। সেখানে প্যান্ট খুলে জোরপূর্বক পায়ুপথে বড় আকৃতির কিছু একটা ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনার পর দোকান মালিককে ফোন করে সাহায্য চাইলে তিনি লোকজন সঙ্গে নিয়ে এসে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জানতে পারি তার পায়ুপথে টয়লেট পরিষ্কার করার ব্রাশ ঢুকানো হয়েছে।
শাহেনা আক্তার বলেন, যারা আমার ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করতে চেয়েছে তাদের শাস্তি চাই। নয়ন জানিয়েছে ওই দুই যুবক তার সঙ্গে অন্য কিছু করেনি। তবে কেন নয়নের ওপর তারা হিংস্রভাবে চড়াও হল, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিল, নয়ন কেন এমন বীভৎসতার শিকার হল-এর সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো পাইনি। এর আগে আমার ছেলে কখনো তাদের দেখেওনি।
তিনি আরও বলেন, নয়নের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্যথা কমলে বাড়ি ফিরতে পারবে বলেছেন তারা।
এ ঘটনায় নয়নের মা বাদি হয়ে অজ্ঞাত দুই যুবকের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।এ ব্যাপারে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, নয়নের ভাষ্যমতে তার সঙ্গে ‘যৌনতামূলক’ কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবুও এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।