বিচার প্রক্রিয়ার সব আইনি দিক মেনেই নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের সাজা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচার শেষ হওয়ায় এখন আর বিদেশি বিশেষজ্ঞ দলের রায় পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেই। কারণ, পাখি উড়ে গেছে। তবে সুনির্দিষ্ট ইস্যু থাকলে বিষয়টি দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ড. ইউনূসের সাজা ও নোবেলজয়ীদের বিবৃতির জবাব দিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এসময় তিনি ড. ইউনূস বিষয়ে বিভিন্ন দেশে অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা খাটো করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপিলের কার্যক্রম চলছে। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন-বিবৃতি দিয়ে তাকে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে। ড. ইউনূসকে সরকার কোনো হয়রানি করেনি। শ্রমিকের মামলার ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার সাজা হয়েছে। চার্জফ্রেম, জামিন, যুক্তিতর্ক সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সময় দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাজা দেয়া হয়েছে।
৩৪২ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন ড. ইউনূস জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা শতাধিক মামলা করেছে ন্যায় না পাওয়ায়। শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতেই শ্রম অধিদফতর গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করেছিল। টাকা দিয়ে অবৈধ পন্থায় আপোষ করা হয়েছিলো। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা যে মামলা করেছে, তার ভিত্তিতে সাজা হয়েছে। এমন অকাট্য প্রমানের পরও বিদেশে হয়রানির অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। দেশ অনেকদিন বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে ভুগেছে। এর থেকে দেশ বের হয়েছে। আইনের শাসন আছে। অনেকে বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করছে। ষড়যন্ত্র করছে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ কারও অঙ্গুলি হেলনে চলবে না।