ম্প্রতি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে এক তরুণীকে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। এতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তার নাম ক্যাপ্টেন আশিক এবং ওই তরুণীর নাম ফারজানা সিথি।
নেটিজেনরা সিথি নামের তরুণীকে দোষারোপ করে ফেসবুকে কমেন্ট করছেন। অনেকে তার ভিডিও এবং ছবি পোস্ট করে নিন্দা জানাচ্ছেন। অপরদিকে তরুণীর অশোভন আচরণ ও বাগবিতণ্ডার সময় অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কারণে ওই সেনা কর্মকর্তার প্রশংসা করেছেন অনেকেই। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন ফারজানা সিথি।
রোববার (১৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় সিথি বলেন, সবাইকে বলছি আমার গতকালের ব্যবহার নিয়ে খুবই দুঃখিত। এ রকম ব্যবহার আমার কোনোভাবেই করা উচিত হয়নি।
আমি বাংলাদেশ আর্মির কাছে খুবই দুঃখিত। আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। তিনি আরও বলেন, সিচুয়েশন, টাইমিং এবং সেখানে যে কার্যকলাপ হতে যাচ্ছিল তার ব্যাপারে আমি সচেতন ছিলাম না। আবেগে মাথা গরম করে ফেলছিলাম বুঝতে পারিনি।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে পেশাদারত্ব ও ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাধুবাদ পেয়েছেন ক্যাপ্টেন আশিক। রোববার (১৮ আগস্ট) সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে এক সাক্ষাতে এ সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান। তবে তাকে কোনো পদক দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পেশাদারত্ব বজায় রাখায় ক্যাপ্টেন আশিককে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন তিনি। এ সময় আরও দুই সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এক ফটোসেশনে অংশ নিতেও দেখা গেছে আশিককে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে শাহবাগ থানায় এক নারীকে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন আশিক অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং সেটির সমাধান করেন। ক্যাপ্টেন আশিকের এই ধৈর্য ও পেশাদারত্ব দেখে নেটিজেনরা প্রশংসা করছেন।