কক্সবাজার রেলস্টেশনে ভুয়া টিকিট নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৯ পর্যটক। এক আনসারের কাছ থেকে কালোবাজারির টিকিট কিনে এমন প্রতারণার শিকার হন তারা।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার পর্যটকরা গাজীপুরের টঙ্গীর বাসিন্দা।
তারা জানান, টঙ্গী থেকে দু’দিন আগে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছিলেন। ট্রেনে করে আসার সময় নিরাপত্তায় থাকা বায়েজিদ নামে এক আনসারের সঙ্গে পরিচয় হয়। ট্রেনের আনসার সদস্যের কাছ থেকে ফিরতি পথের টিকিট পাওয়া যাবে কি না, জানতে চাইলে টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। টিকিট নিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার রেলস্টেশনে আসেন এবং ট্রেনের জন্য রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। কিন্তু ট্রেন আর আসেনি।
অভিযুক্ত আনসার সদস্য বায়েজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) থেকে টিকিট নিয়ে তাদের দিয়েছি। ট্রেনটি রাত সাড়ে ১২টার নয়, দিন সাড়ে ১২টার।
তবে ৯ জনের মধ্যে এক পর্যটক মোহাম্মদ লালচান বাদশা জানান, ৬৯৫ টাকার টিকিট ১২৫০ টাকা নিয়েছে আনসার বায়েজিদ। টিকিটে তারিখ উল্লেখ থাকলেও সময়ের জায়গাটা অস্পষ্ট ছিল। জিজ্ঞেস করলে আনসার আমাদের রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে আসতে বলে। এখানে এসে দেখি ট্রেন নেই।
আরেক পর্যটক রিয়াদ হাসান রাসেল বলেন, আমাদের কাছে থাকা ১১ হাজার টাকায় টিকিট ক্রয় করেছি। এখন আমাদের যাওয়ার জন্য আর টাকা নেই। টাকা ম্যানেজ করতে পারলেও বাসও নেই এত রাতে। ছোট্ট শিশু এবং আমরা সবাই এখন পথে পথে ঘুরছি। এত রাতে কোথায় যাব?
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের একটি ট্রেন দুপুর সাড়ে ১২টায় আরেকটি রাত ৮টায় ছাড়ে। তবে রাত ১২টায় কোনো ট্রেন নেই। পর্যটকরা যে টিকিট নিয়েছে সেটিতে তারিখ উল্লেখ থাকলেও সময় নিয়ে সন্দেহ আছে। টিকিট কালোবাজারি করার সুযোগ নেই। যদি কেউ অসাধু উপায়ে এরকম করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে ১০ দিন আগে টিকিট ছাড়লে ২ মিনিটে টিকিট হাওয়া হয়ে যায় সেখানে কীভাবে ৯টি টিকিট পেল সেটা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পর্যটক এবং স্থানীয়দের।