কোটা বিরোধী আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নসাৎ এর আঙুল উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (দশম ব্যাচ) রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেনের উপর একাউন্টিংও ইনফরমেশন বিভাগের ভর্তি শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২২ (একাদশ ব্যাচ) শিশির হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত আরিফ বর্তমানে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শিশির হোসেন ছাত্রলীগের তমাল -আরাফাত-সুমন গ্রুপের অনুসারী এবং হামলার সময় তারাও উপস্থিত ছিলেন । সেই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক আবু ওবায়েদাকে মারধর করে এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেয় ছাত্রলীগ।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বার বার মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিশির। এসময় আরিফ হোসেন সহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে বাধা দেয় এবং নিষেধ করলে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
কথাকাটাকাি ও ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে শিশির ছাত্রলীগ কর্মীদের একটি বহর নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং বাকবিতন্ডা করেন ও এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেন, এতে নেতৃত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব সহ আরো অনেকেই । সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করে।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শিশির আহমেদ সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আহত শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তীব্র অসুস্থতার জন্য বক্তব্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। মাথায় আঘাতের ফলে সন্ধ্যা পর পরই তাকে সিটিস্ক্যানের জন্য পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি শুনেছি। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।