সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল-সহ মোট চার দফা দাবিতে কোটা-বিরোধী আন্দোলন চলছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ আন্দোলনে দেশের নামি দামি কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অংশগ্রহণ করলেও এতে বিএম কলেজ অংশগ্রহণ করেনি। এবং এই আন্দোলনে নামবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তুমুল ভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলন করছে। এতে করে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সব সময় বরিশাল বিশ্বিদ্যালয়কে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে আসা বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে নামেনি, আদৌ নামবে কিনা এরও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ছাত্রনেতা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অনেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণ না করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এর কারণ হলো শুধুমাত্র ১ম শ্রেনীর চাকুরীতে কোটা বাতিল নিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত ২য়,তয়,৪র্থ শ্রেণিতে কোটা বাতিল নিয়ে কোনো বিফ্রিং আন্দোলন কমিটি দেই নাই। বাস্তবতা অনুযায়ী ১ম শ্রেণীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুলনামূলক কম চান্স পায়। যেহেতু এটা একরকম ১ম শ্রেনীতে কোটা বাতিল আন্দোলন তাই কারো আগ্রহ নাই।বাস্তবিক ভাবে ২য়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীতে কোটা ব্যবস্থা খুবই ভয়াবহ। কোটা আন্দোলনকারী ভাইদের বলবো আপনারা সবাইকে আহবান করেন এবং সবশ্রেনীতে কোটা বাতিল নিয়ে আন্দোলন করুন। শুধু ১ম শ্রেনী নিয়ে করলে আন্দোলন একপাক্ষিক হয়। ইতিহাস বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আন্দোলন ছিলো সবার জন্য যেকোনো একপক্ষকে বিজয় করা নয়।