এরআগে গত রবি ও সোমবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের নেতৃত্ব বাবুগঞ্জের ৩ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৪৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৬২টি বেহুন্দি জালসহ মোট ১৩০টি নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে প্রায় দেড় লক্ষ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জাল আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব জাল বাবুগঞ্জ ও মীরগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় বসে আগুনে ভস্মীভূত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস। বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘বাবুগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণের পরে উপজেলার সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ এই তিনটি নদী অবৈধ জালমুক্ত করা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। হয় নদীতে অবৈধ জাল থাকবে, নাহলে আমি থাকবো। আমি জীবিত থাকতে অবৈধ জাল নিয়ে নদীতে নামতে দেবো না। যতই প্রভাবশালী লোক হোক না কেন অসাধু কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘চলমান জাটকা বিরোধী অভিযানে প্রশাসন এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় নদনদীতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছি আমরা। আমরা খারাপ কিছু করলে সেগুলো তুলে ধরা যেমন মিডিয়ার দায়িত্ব তেমনি ভালো কিছু করলে আমাদের অর্জনগুলো জাতির সামনে তুলে ধরে উৎসাহিত করাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মৎস্যসম্পদ রক্ষার্থে নদনদীতে নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে আমাদের এই চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেসব জেলেরা এই অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তাদের পুনর্বাসনের জন্যেও পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পে আওতায় তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গরু এবং ছাগল প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। এছাড়াও বৈধ ফাঁসের সুতার জাল বিতরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।’