ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. ফিচার
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাবুগঞ্জে চিরুনি অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ জাল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪ ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাবুগঞ্জ উপজেলাকে অবৈধ জালমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে নদীতে চিরুনি অভিযানে নেমেছে মৎস্য অধিদপ্তর। রোববার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত উপজেলার সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ বেহুন্দি, চায়না দুয়ারি, চরঘেরা, বাঁধা ও মশারি জালসহ ২৬২টি জাল উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে নদী থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। বুধবার একদিনেই প্রায় ১ লক্ষ মিটার কারেন্ট জালসহ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩২টি জাল উদ্ধার করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ বাহিনী। এসময় এ্যাংকর, রশি, ড্রামসহ বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে বুধবার ওই যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ। এসময় বাবুগঞ্জ, মুলাদী ও গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কুড়িরচর, মেয়ারচর, কাঠেরচর, মোল্লারহাট, ভাঙ্গারমুখ, মনসাগঞ্জ, নন্দীরবাজার ইত্যাদি বিভিন্ন মোহনা ও চরাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস, বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস দাস, কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার বাদল মিয়া, র‌্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক মানিরুল ইসলাম, আনসার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মোতালেব হোসেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলী হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আতিক, মোহাম্মদ সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে গত রবি ও সোমবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের নেতৃত্ব বাবুগঞ্জের ৩ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৪৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৬২টি বেহুন্দি জালসহ মোট ১৩০টি নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে প্রায় দেড় লক্ষ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জাল আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব জাল বাবুগঞ্জ ও মীরগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় বসে আগুনে ভস্মীভূত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস। বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘বাবুগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণের পরে উপজেলার সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ এই তিনটি নদী অবৈধ জালমুক্ত করা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। হয় নদীতে অবৈধ জাল থাকবে, নাহলে আমি থাকবো। আমি জীবিত থাকতে অবৈধ জাল নিয়ে নদীতে নামতে দেবো না। যতই প্রভাবশালী লোক হোক না কেন অসাধু কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘চলমান জাটকা বিরোধী অভিযানে প্রশাসন এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় নদনদীতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছি আমরা। আমরা খারাপ কিছু করলে সেগুলো তুলে ধরা যেমন মিডিয়ার দায়িত্ব তেমনি ভালো কিছু করলে আমাদের অর্জনগুলো জাতির সামনে তুলে ধরে উৎসাহিত করাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মৎস্যসম্পদ রক্ষার্থে নদনদীতে নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে আমাদের এই চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেসব জেলেরা এই অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তাদের পুনর্বাসনের জন্যেও পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পে আওতায় তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গরু এবং ছাগল প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। এছাড়াও বৈধ ফাঁসের সুতার জাল বিতরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।’

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।