চলতি মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিচালনা পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি উঠছে না। তবে সহসাই অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক। বলছে, জুন মাসে অনুষ্ঠেয় সভায় অনুমোদন পাবে।
আগামী ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদের সভায় বিভিন্ন দেশে বর্ধিত ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে সূচি রয়েছে। যেখানে নেই বাংলাদেশের নাম। এদিকে, জাতীয় সংসদে ৬ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। এর আগে ঋণের এই কিস্তি সম্ভাবনা নেই।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের পরপরই ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় দেয় সংস্থাটি। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলারও ছাড় দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ পাবে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা কিস্তিতে পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে গত ৮ মে বলা হয়, তারা ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে, যা নির্বাহী বোর্ডের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে ছাড় করা হবে। সম্প্রতি আইএমএফের ঋণের শর্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের স্মার্ট সুদহার তুলে নিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়। বাড়ানো হয় ডলারের দামও।