সকালে পাখির কিচিমিচি আর রাতে শেয়ালের হুংকার যেন শোনার মতো কেউ নেই। অতিথি পাখিদের আপ্যায়ন করার মতো যেন কিছুই অবশিষ্ট নেই। কিন্তু নিরবতায় জাগা পাচ্ছে মাঠের ঘাসগুলি, গাছের পাতাগুলি ও ফুলগুলি। এবং দক্ষিণা বাতাসের স্নিগ্ধতায় ফিরে পাচ্ছে অনন্যয় পরিবেশ।
প্যারিস রোডে কপোত-কপোতী দের হাত ধরে দুষ্টু-মিষ্টি গল্প যেন আর কানে আসে না। আমগাছে ফুল থেকে কুঁড়ি হয়েছে, আম ধরেছে, কিন্তু গন্ধ নেওয়ার মতো বা কুঁড়ি খুঁড়ানোর মতো যেন কেউ নেই। নিস্তব্ধতায় যেন ঘিরে রেখেছে প্রিয় ক্যাম্পাসকে। কবি এম.এইচ মজুমদার নিস্তব্ধতা নিয়ে বলেছেন, “নিস্তব্ধতার কান্না, হৃদয়ের গহীন হতে উৎসারিত চিৎকারের কোনো শব্দ নেই”।
শহীদ মিনারের এক কোনে বসে বসে ভাবছি, কেউ তো বলে না, বন্ধু চল গান ধরি, বন্ধু ক্লাসের নীলিমা আজ তোর দিকে এক অপরূপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। অথবা কেউ বলেনি ইবলিশের পারে বসে চা খেতে। যেন কোথাও কেউ নেই।
নেই আগে মতো হাটা চলা, নেই কোনো ভিড় ক্যান্টিন, ডাইনিং এ। ভ্রাম্মমান দোকানগুলো যেন নিস্তব্ধ মরুভূমির মতো। বলেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কথা। যেখানে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে, সাধারন শিক্ষার্থীরা ভিড় করছে তাদের আপন ঠিকানায়। ক্যাম্পাস হয়েছে নিরব-নিস্তব্ধ।