বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নারী কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় এপিবিএনর বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন পুলিশের চার্জশিট আমলে নিয়ে সাক্ষ্যের জন্য ৩০ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাভোকেট বিপ্লব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মকর্তা যে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন তার চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেছেন আদালত।’ মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, বাদী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের সহাকারী পরিচালক। আসামি মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস এপিবিএন বরিশালের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। নারী নির্যাতন মামলার অভিযোগে তাকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, আসামি ফেরদৌসের সঙ্গে তার বরিশাল অফিসার্স ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় পরিচয় হয় এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে দুইজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠায় ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এপিবিএন বরিশালের বাংলোয় ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। ওই দিন থেকে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় বাদী কাবিন নামা চাইলেও আসামি তা না দিয়ে ছলচাতুরী করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে আসামি ফেরদৌস সেলিনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
আসামি বাদীর সঙ্গে বিবাহের সম্পর্ক অস্বীকার করলেও ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দৈহিক সম্পর্ত স্থাপন করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। মামলার বাদী আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘তার দায়ের করা মামলায় আসামি ফেরদৌসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। অথচ তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এজন্য আসামির জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেছেন।’