পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে পরিবহন থেকে ৩ হাজার ১শ কেজি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন- কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলির মো ফারুক হাওলাদারের ছেলে মোঃ নিরব হাওলাদার(৩০), পলাশপুর ইসলাম নগর ১ নং গলির মো সিরাজুল ইসলাম শিরুর ছেলে মো গোলাম রাব্বি (২৯), পলাশপুর কাউন্সিল গলির মো আঃ মান্নান বেপারীর ছেলে মো হৃদয় (২৭)।
পুলিশ জানায়- মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদি ইমন প্যাদা পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা থেকে ৯ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ১শ কেজি ইলিশ মাছ ক্রয় করেন। মৎস্য ব্যবসায়ী ইমন গত ২৫ জানুয়ারি ইলিশ মাছগুলো ‘ডলফিন এক্সপ্রেস’ নামের পরিবহনে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠান। ওই পরিবহনটি রাত ১১ টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানাধীন আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় আসলে ৪০/৪৫ জনের একটি দল গাড়িটি দাড় করায়। পরে পরিবহনের চালক ও সুপার ভাইজারকে ভয়ভিতি দেখিয়ে ঢাকা মেট্রো- ন-১৬-৫৪২৮ নম্বরের একটি হলুদ পিকআপে মাছগুলো উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার ডাক-চিৎকার দিলে ৩ ককসিট মাছ, একটি হিরো হাঙ্ক মোটরসাইকেল, একটি টাটা পিকআপ ফেলে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতরা।
এরপর বিষয়টি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা তাৎক্ষনিক মোটরসাইকেল ও পিকআপটি জব্দ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মৎস ব্যবসায়ী ইমন প্যাদা বাদি হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত সকলের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দী দিয়েছে। পাশাপাশি আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন- মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে।’